কদিন আগেই বালিয়াটি জমিদার বাড়ি ঘুরে এসেছে তপু। খুব ভ্রমনপ্রিয় ছেলেটা। বয়স সবে মাত্র ১৬, এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে গিয়েছিলো মানিকগঞ্জ, নানুর বাড়িতে। সেখানে স্বপন মামা থাকে। স্বপন মামা তপুর খুব পছন্দের মানুষদের একজন। নানুর বাড়িতে স্বপন মামা একাই থাকে। নানা-নানুকে দেখারও ভাগ্য হয়নি তপুর, আদর পাওয়া অনেক পরের কথা। বেশ আনন্দেই কেটে গেলো ৫ দিনের বেড়ানো। নানুর বাড়ি থেকে তপুকে নিয়ে ঢাকায় তাদের বাসায় যাচ্ছে স্বপন মামা। স্বপন মামা বেশ গুরুগম্ভীর লোক, কথা একদম হিসাব মতোই বলে। একদম চুপচাপ থাকে এমনও না। অনেকে আবার ভয় পায় তাকে। দেখতে বেশ লম্বা আর সুঠাম দেহের গড়ন। মনে হয় একটা পালোয়ান ধেয়ে আসছে। মাথার চুল অর্ধেক পাকা। সিগারেটের অভ্যাস ছিলো তবে সদ্য ছেড়েছে। গ্রামের লোকদের ধারণা হলো স্বপন মামার সঙ্গে অশরীরী কিছুর যোগাযোগ আছে। ওরা নাকি কথাও বলে তার সাথে।
ঢাকায় ফিরেই তপুর ছুটির দিন গুলোর গল্প পুরো বাড়িকে গমগমে করে রাখলো কিছুদিনের জন্য। তপুর বাবা মারা গিয়েছে বছর তিন আগে। সেই থেকে তপু একটু আনমনে আর উদাসী হয়ে পড়েছিলো। বাড়ি ছেঁড়ে কোথাও বেড়াতে গেলেই যেন ছোট্ট বেলার সেই প্রাণবন্ত তপুকে দেখতে পাওয়া যায়। তপুর ছোট ভাই অপু, সামনের বছর স্কুলে ভর্তি হবে। ঢাকায় তপুরা থাকে ইস্কাটনে। বাবা, মা, ছোট ভাই আর দাদীকে নিয়েই ছোট্ট একটি পরিবার ছিলো। তপুর বাবা জনাব রফিক ছিলেন আইনজীবী। সুপ্রিমকোর্টে বেশ পরিচিত ও সম্মানিত ছিলেন। স্বপন মামা একবার এসেছিলো কি এক কিডন্যাপ কেস নিয়ে। কিডন্যাপ কেস হচ্ছে স্বপন মামার কথা। আসলে কেউই নাকি কিডন্যাপ হয়নি এমন বলেছিলো তপুর নানুর বাড়ির এলাকার লোকেরা। রফিক সাহেব ব্যাপারটা বেশ ভারী ভাবেই নিলেন, তাই গ্রামের লোকদের কথায় কান না দিয়ে খুব করে লেগেছিলেন কেসটা সমাধান করতে। কিডন্যাপ ও নাকি হয়েছে তপুদের নানুর বাড়ি থেকেই! যে গাড়ীতে করে তুলে নেয়া হয়, তাতে লেখা ছিলো, “ঢাকা মেট্রো”। গাড়ীর নম্বর মনে নেই স্বপন মামার, তবে কালো রঙের একটা ঝাঁ চকচকে দামি গাড়ী ছিলো এতোটাই বলতে পারে। রফিক সাহেব এই কিডন্যাপ কেস সংক্রান্ত পুলিশ কমপ্লেইন, তদন্তের কাগজপত্র, সাক্ষী ইত্যাদি ঘেটে দেখার জন্যে মানিকগঞ্জ গেলেন। সেখানে গিয়ে বুঝলেন যে আদৌ এমন কিছু ঘটেই নি। থানায় যে কমপ্লেইন সেটার রিপোর্ট বলছে ভুয়া কেস। কিডন্যাপ হতে আর কেউই দেখেনি। আর কেউ অভিযোগও করেনি। তাহলে স্বপন মামা কেনো এত বড় একটা মিথ্যে ঘটনাকে সাজিয়ে নিয়ে ঢাকায় তার বোনের বাসায় আসবে কেস করতে?
স্বপন মামা পড়াশুনা মাঝ পথেই ছেঁড়ে দেয়। কলেজ জীবন থেকেই নিজে বেশ কিছু লিখালিখি করতো পত্রিকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে সেই লিখালিখি আরো পরিপক্কতা পায়। লিখতো সমসাময়িক বিষয়ের কলামে, লিখতো কবিতা ও গল্পের পাতায়, আরো লিখতো বিভিন্ন সমস্যার সমাধান চেয়ে লিখে পাঠানো পাঠকদের উত্তরে। বেশ মেধাবী কিন্তু অগোছালো জীবন নিয়ে স্বপন মামার কি চিন্তা-ভাবনা ছিলো তা সে নিজেও জানতো না। তাই তৃতীয় বর্ষের শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলে আসে আর বাড়িতে থেকে লিখালিখির কাজটা আরো পাকাপোক্ত করার চেষ্টায় নামলো। জীবিকার জন্যে ছাত্র পড়াতো কিছু। যতই দিন গেলো, ছাত্রের সংখ্যাও কমতে থাকলো। সে ভালো শিক্ষক নন এমন না। লোকদের মনে ভয় ছিলো যে ওই বাড়িতে স্বপন মামা ছাড়াও আরও কিছু আছে। গ্রামে হরিপদ নামের এক বয়স্ক লোক থাকতেন। পেশায় তিনি পানের আড়তদার। সকলে উনাকে হরিপদ কাকা নামেই ডাকতো। একবার শীতের রাতে হরিপদ কাকা তার আড়তের কাজকর্ম শেষ করে বাড়ি যাচ্ছিলেন হেঁটে। হরিপদ কাকার বাড়ি তপুর নানুর বাড়ির পাশ দিয়েই যেতে হয়। বেশ অন্ধকার রাস্তায় একটা টর্চ জ্বেলে হাঁটছিলেন। হরিপদ কাকা হঠাৎ কটকটে লাল একটা অবয়ব দেখেই দৌড়ে পালান। পরদিন থেকে পুরো গ্রামে রটে যায় সে খবর। এরপর অনেকেই নাকি অনেক কিছু দেখেছে তবে কি দেখেছে সেটা কেউই সঠিক বলতে পারেনা। অনেকেই নাকি ভুলে যায়, অনেকে বলে যে ওসব মুখে আনলেই ক্ষতি হবে। যাক সে কথা, তখন মাত্র একজনকেই পড়াতেন স্বপন মামা। সেই ছাত্রই কিডন্যাপ হয়েছে বলে যতো অভিযোগ আর রহস্য। রফিক সাহেব যখন সকল কিছুর যাচাই করে হতাশ তখন স্বপন মামার মুখে বিষণ্ণতা, কণ্ঠে অতৃপ্তি। কেউই তাকে বিশ্বাস করছে না। ঘটনার মাস খানেক পরেই স্বপন মামা ঢাকায় যেতে মনঃস্থির করে। কিন্তু গিয়েছিলো প্রায় বছর খানেক পর আর ফলাফল হচ্ছে অবিশ্বাস। মাঝের এই এক বছর স্বপন মামা আর কারো সাথেই কিডন্যাপ কেস নিয়ে একটা কথাও বলেনি।
রফিক সাহেব ঢাকায় ফেরার পর তপুর মাকে সমস্ত কথা বলছিলেন আর আফসোস করছিলেন এই ভেবে যে তার শ্যালক স্বপন আসলে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে কিন্তু সে কথা কেউ কোনোদিন আঁচ করতে পারেনি। এর পরদিন তিনি এক মোয়াক্কেলের সাথে কোর্টে গিয়ে আর বাড়ি ফিরেন নি। দুদিন পর তার লাশ পাওয়া যায় ঢাকা মেডিকেল মর্গে। শরীরে আঘাত নেই, চিহ্ন নেই। তবে দেহের সাথে মাথাটাও নেই। কোর্টের পেছনে পাওয়া দেহকে অজ্ঞাতনামা লাশ সন্দেহে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। কোর্টের কিছু কর্মচারী আর কর্মকর্তারা সেই লাশের গায়ে পড়নের পোশাক দেখে সন্দেহ করেন যে এটা রফিক সাহেব।
এদিকে তপুর মা অস্থির হয়ে ছিলেন। স্বামী ফিরছে না, কোনো খোঁজ ও নেই। তিনি পুলিশের কাছে যাবেন যাবেন করেও আবার যাচ্ছেন না। দুদিন হয়েছে স্বামী ফিরেনি, তপু আর অপুরও যদি কিছু হয়ে যায় এই ভয়েই কাবু তিনি। তপুর দাদীর অবশ্য এ নিয়ে চিন্তা নেই। তার মতে রফিক সাহেব জরুরী কাজে শহরের বাইরে আছেন। নিজের ছেলে লাখে একটা, ছেলে সব পারবে এমন অগাধ বিশ্বাস নিয়েই তাকে মানুষ করেছেন তিনি। এই ছেলে কি হারিয়ে যাবে? কচি খোকা হলেও এক কথা, এতো দুই সন্তানের জনক আর নামডাক ওয়ালা উকিল। দাদী নামাজ পড়ে দোয়া করছেন যেন তার ছেলে কাজ করে আরো সুনাম কুঁড়াতে পারেন। এর মধ্যেই কোর্টের পক্ষ থেকে পুলিশ গিয়ে রফিক সাহেবের পরিবারকে অবহিত করলে তারা এসে লাশ সনাক্ত করেন। দাদী তার পুত্র হারানোর শোকে পা এলিয়ে মেঝেতে বসে বিলাপ করছেন। কান্না আর চাপা কষ্টের এক মিস্র তরঙ্গ যেন বয়ে বেড়াচ্ছে হাসপাতালের বারান্দায়। ময়নাতদন্তের জন্যেও মন সায় দিচ্ছে না তপুর মায়ের। তবুও সরকারী আইন ও নিয়ম অনুযায়ী ময়নাতদন্ত হবেই। তদন্তের রিপোর্টে বিশেষ কিছু লিখা নেই। দেহ থেকে মাথা আলাদা হলো কি করে তারও নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই। শুধু লিখা আছে, “ধারালো বস্তুর আঘাতে মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে”। এটা কি পেশাদার বা অপেশাদার খুনির কাজ? সুরতহাল দেখে পুলিশও কিছু বুঝে উঠছে না। তপুর মা আর কেস সামনে আগাতে চান নি। তাই ফাইল ক্লোজড। এরপর তপুর মা বেশ কষ্টেই ছেলেপুলেকে মানুষ করার যুদ্ধে নেমেছেন। তপুর মা কখনোই তার ভাইকে অস্বাভাবিক দেখেন নি। একটা কেস নিয়ে এতকিছুর পর তিনি নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। স্বামীকেও হারালেন। এতকিছুর পর নিজেকে বিশ্বাস করবেন নাকি সান্ত্বনা দিবেন?
নিজের ভাইকে নিয়ে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দ্বন্দ্বে ভুগতে ইচ্ছুক নন তিনি, তাই বেশি কথাও বাড়ান নি কোনোদিন। তপুকে নানুর বাড়িতে প্রতি বছরই একবার বেড়াতে পাঠানো হতো। এই সময়টাই তপু একটু হাসিখুশি থাকতো। স্বপন মামার সাথে ঘুরে ঘুরে গ্রাম দেখা তার খুবই প্রিয় কাজ।
ঢাকায় ফিরেই স্বপন মামা তপুকে কলেজে ভর্তি নিয়ে পরামর্শ দিলো। এসএসসি পরীক্ষার ফল বের হতে বাকি আছে মাস খানেক। তবে তপুর ফল ভালোই হবে বলে বিশ্বাস করে স্বপন মামা। কলেজের কিছু বই অগ্রিম কেনার জন্যে নীলক্ষেত যাবে আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও দেখাতে নিয়ে যাবে বলে কথা দিলো। একদিন বিকেলে তপু বাইরে যাওয়ায় বায়না ধরলো, স্বপন মামা ঠিক করলো আজকেই নীলক্ষেত থেকে বই কিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে যাবে তপুকে নিয়ে। টিএসসি আসলে কি, কেমন জায়গা এ নিয়ে তপু কিছুই জানেনা। তপু ভাবে যে টিএসসি মানেই সুন্দর একটা পার্ক। সেখানে অনেক মানুষ। ছোটবেলায় তপু একবার শিশুপার্কে গিয়েছিলো তার বাবার সাথে। টিএসসি হয়তো বড়দের কোনো পার্ক হবে এমনটা কল্পনা করে নিলো তপু। জলদি করে জিন্স প্যান্ট আর শার্ট পড়ে তৈরি হয়ে নেয় তপু। এই জিন্স আর শার্ট তপুর বাবা কিনে এনেছিলেন। তপু তখন ক্লাস সেভেনে উঠবে। জিন্স আর শার্ট ছিলো তপুর তুলনায় বেশ বড়। তপু বয়সে ছোট বলে মাপে হচ্ছিলো না। সেই কাপড় আর পড়া হয়নি তখন। তপুর মা যত্ন করে ওগুলো তুলে রেখেছিলেন আলমারিতে।
স্বপন মামা আগেই বাসার নিচে নেমে অপেক্ষা করছে তপুর জন্য। হঠাৎ একটা দামি গাড়ী এসে থামলো বাসার মূল ফটকে। গাড়ী থেকে একটি ছোট বাচ্চা নেমে এলো। কাছে আসতেই বাচ্চাটিকে খুব চেনা মনে হচ্ছিলো স্বপন মামার। আরও কাছে গিয়ে দেখলো যে এ তো তপুর ছোট ভাই অপু! অপু স্বপন মামাকে হাত নেড়ে ডাকছে। ডাকতে ডাকতে আবার গাড়ীর ভেতর গিয়ে বসেছে। স্বপন মামা অপুকে পেছন থেকে ডাকলেও সে শুনছে না। গাড়ীর ভেতর বসে আছে অপু, দরজাটা খোলা। স্বপন মামা অপুকে কোলে করে আনতে গিয়ে দেখলো যে গাড়ীতে অপু ছাড়া আর কেউই নেই, চালকের আসন শূন্য। অপুকে কোলে নিতে হলে গাড়ীর ভেতরটায় একবার ঢুকে তারপর অপুকে নিয়ে বের হতে হবে। স্বপন মামা কিছু না ভেবেই অপুকে কোলে নিতে গাড়ীতে বসলো। অপু খিলখিলিয়ে হেসে উঠে আর গাড়ীর দরজা বন্ধ হয়ে যায়। স্বপন মামা যেন এবার ভয় পেলো একটু। চালকের আসনে চোখ যেতেই দেখেন রফিক সাহেব বসে আছেন হাসি মুখে। বেজায় ভয় পাচ্ছে স্বপন মামা। অপু তার মুখে আলতো করে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর আধো ভাঙ্গা শব্দে বলছে, “মামা! আমরা অনেক দূরে যাচ্ছি তাইনা?”
স্বপন মামার কিছু মনে পড়লো। তার সেই ছাত্রের কিডন্যাপ হওয়া। এরপর রফিক সাহেবের আচমকা মৃত্যু, তাও কি বীভৎস ভাবে! রফিক সাহেব যখন মারা যান, তার ঠিক এক বছর আগেই অপুর জন্ম। অপুর প্রথম জন্মদিনের দিনেই রফিক সাহেব নিখোঁজ হন আর ঠিক দুদিন পর লাশ পাওয়া যায়। অপুর জন্মের দিনেই স্বপন মামার সেই ছাত্র কিডন্যাপ হয়। স্বপন মামার অপুকে দেখতেও আসা হয়নি সে কারণে। স্থানীয়রা বলেন যে সেই সময়ে স্বপন মামা আদৌ কোনো ছাত্রকে পড়াতো না। সেখানে ছাত্রকে কিডন্যাপ কে করবে?
স্বপন মামার শরীর ভালো লাগছে না। মিনিট দু-এক যেতেই সে কেমন ঘেমে চুপসে গেছে। গাড়ীতে এসি চলছে, তাও ঘামছে স্বপন মামা। রফিক সাহেব বলে উঠলেন, “সেদিন আমি গিয়েছিলাম। আজ তুমি যাবে স্বপন।” গাড়ী স্টার্ট হয়ে চলতে লাগলো। অপু তাকিয়ে আছে স্বপন মামার দিকে আর হাসছে খিলখিলিয়ে।
তপু নিচে এসে কাউকে দেখতে পাচ্ছে না। এদিক ওদিক তাকিয়ে সে স্বপন মামাকে নাম ধরে ডাকলো কয়েকবার। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ভাবলো মামা হয়তো নিচেই আসেনি। আবার সিঁড়ি বেয়ে চার তলায় উঠে বেল বাজাচ্ছে তপু। অনেকক্ষণ হলেও কেউ দরজা খুলছে না। ভেতর থেকে হঠাৎ অপুর কান্নার শব্দ ভেসে আসলো। এর কয়েক সেকেন্ড পরেই দরজাটা খুলে গেলো। দরজা খুলতেই তপু দেখলো যে অপু দাঁড়িয়ে আছে আর খিলখিলিয়ে হাসছে। তপু ভেতরে গেলো, আবছা আলো রুমে। তপুর মা মাটিতে পড়ে আছে। তপুর দাদী বসে আছেন আর বিলাপ করছেন, ঠিক যেমনটা হাসপাতালের বারান্দায় করেছিলেন রফিক সাহেবের লাশ দেখার পর। তপু কিছু বুঝে উঠার আগেই সবকিছু কেমন যেন মিলিয়ে গেলো! দরজা বন্ধ আর সে আগের মতোই বাইরে দাঁড়িয়ে! সে বেল বাজাবে কিনা সেটাই বুঝে উঠছে না। তার শরীর কেমন ঠান্ডা হয়ে জমে আছে। তপু তার মাকে ডাকতে চাইলো কিন্তু গলায় কোনো শব্দ নেই। সিঁড়ি বেয়ে নামা শুরু করলো তপু। নিচে নামতেই দেখে স্বপন মামা দাঁড়িয়ে আছে। দৌড়ে স্বপন মামার কাছে যেতেই দেখলো যে স্বপন মামা কেমন বাতাসে মিলিয়ে গেলো!
MD. Ruhul Amin
ID: 23303018
Department: BBA
Total Views: 957
নারী ক্ষমতায়নের প্রধান বাধা আজ নারী নিরাপত্তা....
March 8, 2025
View More
Emotions and Relationships
February 24, 2024
View More